সূরা বাক্বারার শেষ দু’আয়াতের ফজিলত কোরআন ও হাদীসের আলোকে দোয়ার ভান্ডার এর আজকের আলোচনা। আশাকরি আপনাদের আমলকে আরো তরান্বিত করবে। যদি আয়াতগুলো মুখস্থ করে রাখতে পারেন।
ফযীলতসমূহ- প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নিম্নের আয়াতসমূহ পাঠকারী ব্যক্তির মনের সকল আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ হয় এবং সকল প্রকার বালা-মুসীবাত দূর হয় আর পাঠকারীর কোনরূপ অভাব অনটন থাকে না। রাত্রে শোয়ার সময় পাঠ করলে নিরাপদে থাকা যায়। এছাড়া এ দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যা চাওয়া হয় ইন্শাআল্লাহ্ তা পূরণ হয় ।
পবিত্র বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে উল্লেখ আছে যে, উক্ত আয়াতসমূহ রাতের বেলায় পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ্ নিরাপদে থাকবে। এছাড়া উক্ত আয়াতসমূহ যথানিয়মে পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে মহান আল্লাহ্ তার সে প্রার্থনা কবুল করবেন।
অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে যে, উক্ত আয়াতে কারীমা ‘আরশের নিচের ধনভাণ্ডার হতে দেয়া হয়েছে। এটি আল্লাহ্ তাআলার রহমত, নৈকট্য লাভের উছিলা ও দোয়া । এটা ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর অন্তত একবার করে পাঠ করা উচিত।
সুতরাং এ দোয়াটি নিজেরা শিক্ষা করতে এবং স্ত্রী-পুত্র ও সন্তানদেরকে শিক্ষা দান করার জন্য হাদীসে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে পাঠের ফলে নিম্নলিখিত ফল লাভ করা যায়।
উক্ত সূরা রাতে পাঠ করে ঘুমালে কোনরূপ চুরি-ডাকাতির ভয় থাকে না । কঠিন বিপদের সময়ে আয়াতুল কুরসী এবং নিম্নলিখিত আয়াতসমূহ পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে বিপদ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
সূরা বাক্বারার শেষ দু’আয়াত এর উচ্চারণ
আমানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহে মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনূনা। কুল্লুন আমানা বিল্লাহে ওয়ামালা-ইকাতিহি ওয়াকুতুবিহি ওয়া রুসূলিহি, লানুফাররিকু বাইনা আহাদিম্ মির রুসূলিহি। ওয়া কালু সামিনা ওয়াআত্বা’না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়াইলাইকাল মাছীরু। লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফছান ইল্লা উস’আহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাছাবাত।
রাব্বানা লা তুআখেযনা ইন্নাহীনা আও আখত্বানা রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইছরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা ত্বা কাতালানা বিহি ওয়া‘ফু ‘আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ার হামনা আনতা মাওলানা ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।
অর্থ : যা কিছু রাসূলের রব্ব অবতীর্ণ করেছেন, তার প্রতি রাসূল ও মুমিনরা ঈমান এনেছে, সবাই আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব এবং রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছে ; তারা বলে : আমরা রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করি না, আরো বলে, শুনেছি ও পালন করেছি, হে রব্ব! আমরা মাফ চাই, তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন ।
আল্লাহ সামর্থ্যের বাইরে কারো উপর দায়িত্ব চাপান না, প্রত্যেকেই কর্মফল ভোগ করবে, আর ভুল কিংবা ত্রুটি করলে আমাদেরকে অপরাধী করো না , হে রব্ব! আমাদের উপর গুরু-দায়িত্ব দিও না, যেমনটি দিয়েছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের, হে রব্ব ! আমাদের উপরে এমন বোঝা চাপিও না যা বহন করিবার শক্তি আমাদের নাই, আমাদেরকে মার্জনা কর, ক্ষমা কর, এবং দয়া কর, তুমিই আমাদের প্রভু-মনিব, তাই কাফের দলের উপর আমাদের বিজয়ী কর।
আরো পড়ুন- ঘুমানোর আগে যে আমলগুলো করতে হয়