ইসমে আ’যমের ফযীলত জেনে রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। সেই সাথে ইসমে আজম মুখস্থ করে রাখতে হবে। যেন কখনো প্রয়োজন হলে আমল করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লিখাটি সম্পুর্ন পড়ুন।
ইসমে আ’যম অর্থ কি
ইসিম শব্দের অর্থ হলো- নাম, আর আ’যম মানে অনেক সম্মানী বা বড় , এখানে বুঝানো হয়েছে সবচেয়ে ফজিলত পুর্ণ নাম বা অব্যার্থ তাসবীহ হলো এই ইসমে আজম। যা আমল করলে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে ফিরিয়ে দেননা। মহা মুসিবতে এই ইসমে আ’যম এর আমল করলে মুসিবত থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
ইসমে আ’যম কখন থেকে শুরু হয়
পয়গাম্বর হযরত ইউনুস আঃ যখন সাগরে মাছের খাদ্যে পরিনত হয়েছিলেন, এবং আল্লাহর সাহায্য চেয়েছিলেন, তখনই আল্লাহ তাআলা জিব্রাইলের মাধ্যমে এসমে আজম দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। এই ইসমে আ’যম পাঠ করায় আল্লাহ তাআলা মাছের পেট থেকে হযরত ইউনুস আঃ কে পুনরুদ্ধার করে আবার পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন।
ইসমে আ’যমের ফযীলত
ইসমে আ’যম মহান আল্লাহর সর্বোত্তম গুণ বিশিষ্ট নাম। এর অর্থ হচ্ছে- সর্বশ্রেষ্ঠ নাম। এ জন্যই একে ইসমে আ’যম নামে অভিহিত করা হয়েছে। এ দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তা কবুল করবেন।
আল্লাহ তা’য়ালার এ ইসমে আ’যম সম্পর্কে বিজ্ঞ আলেমগণ এবং অলীগণের মধ্যে মতভেদ আছে। আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) সকল আলেমের ইসমে আ’যম একত্রিত করে যে দোয়াটি লিখেছেন, তা এখানে উল্লেখ করা হল ।
যে ব্যক্তি প্রত্যহ একুশ বার অথবা সাতবার নিম্নোক্ত ইসমে আযম পাঠ করবে, সে সকলের নিকট শ্রদ্ধাভাজন হবে এবং পাঠকারীর সর্বপ্রকার কাজ-কর্ম সহজ হবে। ব্যবসায় যথেষ্ট উন্নতি লাভ হবে এবং দূরদর্শিতা বৃদ্ধি পাবে।
বাংলায় ইসমে আজম
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বি আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদু ল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বি আন্না লাকাল হামদু ইলাহা ইল্লা আংতাল হান্নানুল মান্নানু বাদীউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম । ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু আসআলুকা ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহীম । আলিফ, লাম, মীম! আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যোয়ালিমীন।