নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে এ দোয়ার ফযীলত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। হযরত জিবরাঈল (আঃ) তদুত্তরে বললেন, সারা দুনিয়ার পানি যদি কালি হয়, আর যত বৃক্ষলতা দুনিয়াতে আছে তা যদি কলম হয়, জ্বিন, মানুষ, ফেরেশতা এবং অন্যান্য সমস্ত জীবজন্তু সর্বদা এর ফযীলত লেখতে থাকে, তা হলেও এর ফযীলত লিখে শেষ করতে পারবে না। নিম্নে এর কিছু ফযীলত বর্ণিত হচ্ছে- যে ব্যক্তি এ দোয়া পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তাকে নিম্ন বর্ণিত ফযীলত প্রদান করবেন ।
১। ঈমান বজায়ে থাকবে এবং ঈমানের সাথে তার মৃত্যু হবে।
২। রোযী রোজগারে আয় বরকত হবে। কখনো কোন প্রকার দুঃখ কষ্টে পতিত হবে না ।
৩। তার কোন শত্রু থাকবে না। ভয়ংকর বিপদে পড়লেও তা হতে মুক্ত হবে।
৪। অসীম সওয়াব পাবে এবং আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য বেহেশতে প্রাসাদ তৈরী করবেন।
৫ । এ দোয়া লিখে মাথায় বা বাহুতে বেঁধে কোন কঠিন কাজে গেলে আল্লাহর রহমতে সে সফলকাম হবে। তার কোন প্রকার অনিষ্ট হবে না।
৬। যাদুটোনা লাগবে না।
৭। বদ নযর লাগবে না ।
৮। এ দোয়া লিখে সঙ্গে রাখলে জান-মাল নিরাপদে থাকবে।
৯। এ দোয়া লিখে সঙ্গে রাখলে জ্বিন-পরীর হাত হতে রক্ষা পাবে।
১০। যাদুগ্রস্থ রোগীকে এ দোয়া লিখে পানি দ্বারা ধুয়ে খাওয়ালে আল্লাহর ফজলে রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
১১। ডাক্তার কবিরাজের ত্যাজ্য রোগেীকে এ দোয়া ১১ দিন মেশক জাফরান কালি দ্বারা সাদা প্লেটে লিখে পানি দ্বারা ধুয়ে পান করালে আল্লাহর রহমতে সে রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
১২। যে স্ত্রীলোকের কোন সন্তানাদি হয় না, এ দোয়া ২১ দিন সাদা প্লেটে মেশক জাফরান কালি দ্বারা লিখে সে স্ত্রীলোককে পান করালে আল্লাহর রহমতে তার সন্তান হবে।
১৩। গর্ভবতী স্ত্রীলোকের প্রসব বেদনা হলে এ দোয়া পড়ে পানির উপর ফুঁক দিয়ে পান করালে অতি সত্ত্বর প্রসব হবে।
১৪। যে ব্যক্তি এ দোয়া বারবার পড়বে, রোজ হাশরের দিন আল্লাহ তা’য়ালা তার মুখ চন্দ্রের মত উজ্জল করবেন। সকলের ওপরে তার উচ্চ মর্যাদা হবে। সে বোরাকে আরোহণ করে বেহেশতে যাবে। তা দেখে ফেরেশতাগণ জিজ্ঞেস করবেন, ইনি কে ? ইনি কোন অলী বা দরবেশ ? তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ) উত্তর দিবেন, ইনি পৃথিবীতে দোয়া গাঞ্জল আরশ পড়তেন এবং লিখে সঙ্গে রাখতেন। এ জন্য আল্লাহ তা’য়ালা এ মর্যাদা দান করেছেন । এ কথা শুনে সকলেই আফসোস করবে।
১৫। যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়বে এবং সঙ্গে রাখবে, সে আল্লাহর রহমতে বালা-মুসিবত ও যালেমের যুলুম হতে রক্ষা পাবে ।
১৬। যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়বে এবং সঙ্গে রাখবে, সে কখনো দেনাদার হবে না
১৭। যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়বে এবং সঙ্গে রাখবে, সে বিদেশে বা কোথাও মুসাফেরিতে গেলে, আল্লাহর রহমতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে।