ঘুমানোর আগে যে আমলগুলো করতে হয়

ঘুমানোর আগে যে আমলগুলো করতে হয় বা যে দোয়া পড়ে ঘুমালে আল্লাহর ফেরেস্তারা সারারাত আমলকারী ব্যাক্তির পাহারাদার হিসাবে নিযুক্ত থাকবেন। তাই ঘুমানোর সময় এই কাজগুলো করুন।

ঘুমানোর আগে কিছু আমল করুন

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিরাতে যখন তাঁর শয্যায় গমন করতেন তখন তিনি তাঁর দু’হাতের তালু মিলাতেন, তারপর সূরা ইখলাস পড়তেন, তারপর সূরা ফালাক পড়তেন, তারপর সূরা নাস পড়তেন। এই তিনটি সূরা পাঠ করে দু’হাতে ফু দিতেন, তারপর উক্ত দু’হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করতেন এবং মাসেহ আরম্ভ করতেন তাঁর মস্তক ও মুখমণ্ডল এবং দেহের সামনের দিক হতে। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (বোখারী ফতহুলবারী, মুসলিম)

ঘুমন্ত অবস্থায় নিরাপদ থাকার আমল

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যখন তুমি রাতে তোমার শয্যায় গমন করো তখন আয়াতুল কুরসী পড়ো, সর্বদা তুমি আল্লাহর হেফাযতে থাকবে এবং সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছেও আসতে পারবে না।’ তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে, (বোখারী ফতহুলবারী, মুসলিম) আয়াত দুটো হলো-

অর্ডার করতে ক্লিক করুন
Ad 2

উচ্চারণ- আমানার রাসূলু বিমা উন্‌যিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনুন, কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়ামালা ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ। লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ। ওয়া কালু সামিনা ওয়াআত্মা’না গুফ্রানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

অর্ডার করতে ক্লিক করুন
Ad 1

লা-ইয়ূকাল্লিফুল্লাহু নাসান ইল্লা উস্’আহা লাহামা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাক্তাসাবাত, রাব্বানা লাতু আখিউনা ইন্নাসীনা আউ আকত্বা’না, রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা, রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মালাত্বাকাতা লানাবিহী, ওয়া’ফু ‘আন্না, ওয়াগফির লানা ওয়ার হামনা আন্তা মাওলানা ফান্সুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্ডার করতে ক্লিক করুন
Ad 3

অর্থ : আল্লাহর রাসূল সেই বিষয়ের ওপর ঈমান এনেছে, যা তার ওপর তার মালিকের পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে, আর যারা সে রাসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে- তারাও সেই একই বিষয়ের ওপর ঈমান এনেছে। এরা সবাই ঈমান এনেছে আল্লাহর ওপর, তার ফেরেস্তাদের ওপর, তার কিতাবের ওপর, তার রাসূলদের ওপর। আমরা তার পাঠানো নবী রাসূলদের মাঝে কোনো রকম পার্থক্য করি না, আমরা তো আল্লাহর নির্দেশ শুনেছি এবং জীবনে তা মেনেও নিয়েছি। হে আমাদের মালিক! আমরা তোমার ক্ষমা চাই, আমরা জানি আমাদের একদিন তোমার কাছেই ফিরে যেতে হবে।

আল্লাহ কখনো কোনো প্রাণীর ওপর তার শক্তি সামর্থের বাইরে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না- সে ব্যক্তির জন্যে ততোটুকুই বিনিময় রয়েছে যতোটুকু সে এ দুনিয়ায় সম্পন্ন করবে, আবার পাপ কাজের শাস্তিও তার ওপর ততোটুকু পড়বে, যতোটুকু পরিমাণ সে এই দুনিয়ায় করে আসবে।

হে মুমিন ব্যক্তিরা! তোমরা এই বলে দোয়া করে হে আমাদের মালিক! যদি আমরা কিছু ভুলে যাই, কোথাও যদি আমরা কোনো ভুল করে বসি, তার জন্যে তুমি আমাদের পাকড়াও করো না, হেআমাদের মালিক! আমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ওপর যে ধরনের বোঝা তুমি চাপিয়েছিলে, তা আমাদের ওপর চাপিয়ো না, হে আমাদের মালিক! যে বোঝা বইবার সামর্থ আমাদের নেই, তা তুমি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না, তুমি আমাদের ওপর মেহেরবানী করো, তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের ওপর তুমি দয়া করো, তুমিই আমাদের একমাত্র আশ্রয়দাতা বন্ধু, অতএব কাফেরদের মোকাবেলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো

উচ্চারণ- বিইস্মিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া ।
অর্থ- হে আমার মালিক! তোমার নাম নিয়েই আমি শয়ন করছি এবং তোমার নাম নিয়েই উঠবো। (বোখারী ফতহুলবারী, মুসলিম)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) এবং ফাতেমা (রাঃ) কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য হবে খাদেম অপেক্ষাও উত্তম? (তারপর তিনি বলেন) যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় (নিদ্রার উদ্দেশ্যে) গমন করো, তখন তোমরা দু’জনে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ বলবে, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ বলবে এবং ৩৪বার আল্লাহু আকবার বলবে। এটা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে। (বোখারী ফতহুল বারী, মুসলিম)

আরো পড়ুন- দেনমোহর পরিশোধ করার নিয়ম কি

Leave a Comment

বিশ্বস্ত হারবাল শপের ঠিকানা